নিঝুম দ্বীপ, নোয়াখালীর একটি ছোট্র পর্যটন কেন্দ্র।




 নিঝুম দ্বীপ



বাংলাদেশের একটি অনন্য রকমের সুন্দর ও মন মাতানো প্রাক্রিতিক সৌন্দর্যে সমৃদ্ধ একটি জায়গার নাম হল নিঝুম দ্বীপ। আয়তনে নিঝুম দ্বীপ বাংলাদেশের একটি ছোট্ট দ্বীপ হিসেবে পরিচিত।এর অবস্থান হল নোয়াখালী জেলার হাতিয়া উপজেলার অর্ন্তগত নিঝুম দ্বীপ।

যদিও একে 'দ্বীপ' বলা হয় তথাপি এটি মূলত একটি 'চর' হিসেবে উল্লেখ করা যেতে পারেএর পুর্ব ইতিহাস অনুসন্ধান করলে জানা যায় এই নিঝুম দ্বীপের পূর্ব নাম ছিলো চর-ওসমান।শোনা যায় সেখানে ওসমান নামের একজন অধিবাসী ছিলেন যিনি বাথানিয়া তার মহিষের বাথান নিয়ে প্রথমে নিঝুম দ্বীপে বসত গড়ে তোলেন। তখন এই ওসমান মিয়ার নামানুসারেই এই দীপের  নামকরণ করা হয়েছিলো।

পরবরতিতে হাতিয়ার মাননীয় সংসদ সদস্য জনাব আমিরুল ইসলাম কালাম এই দ্বীপ এর নাম বদলিয়ে ফেলেন এবং নতুন নাম দেন নিঝুম দ্বীপএরপর থেকে আনুষ্ঠানিক ভাবে সব জায়গায় এর নাম নিঝুম দ্বীপ হিসেবেই পরিচিতি পাওয়া শুরু করে। মূলত বল্লারচর, চর ওসমান, কামলার চর এবং চুর মুরি- এই চারটি চর মিলিয়ে নিঝুম দ্বীপ হিসেবে পরিচিত।

যতদুর জানা যায় আয়তনে প্রায় ১৪,০৫০ একর এই দীপ।আর এই দ্বীপটি ১৯৫০ খ্রিস্টাব্দের দিকে জেগে ওঠে বলে তত্ত সুত্রে জানা যায়। ১৯৭০ খ্রিস্টাব্দের আগ পর্যন্ত কোনো লোকবসতি ছিলো না এই খানে, তাই দ্বীপটি নিঝুমই ছিলো। বাংলাদেশের বনবিভাগ করতিক ৭০-এর দশকে বন বিভাগের কার্যক্রম শুরু করা হয়।এই দীপে রয়ছে বিভিন্ন প্রজাতির বন্ন প্রানি,পশু-পাখি।আর রয়েছে ছোট বড় বিভিন্ন ধরনের উদ্ভিদ।অল্প লনা পানিতে এসব সিনারি দেখতে বেশ ভালই লাগে।বিশেষ করে সুর্যদয়ের সময় এর চারপাশের পরিবেশ অন্নরকম হয়ে যায় যা দেখতে অত্তন্ত ভাল লাগার মত একটি বিষয়।

বন বিভাগের কার্যক্রমের অংশ হিসেবে প্রথমে পরীক্ষামূলকভাবে চার জোড়া হরিণ ছেড়ে দেওয়া হয় এখানে। নিঝুম দ্বীপ এখন হরিণের অভয়ারণ্য হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে।হয়ত সেদিনের ছেড়ে দেয়া হরিন গুলোই বংশবিস্তার করেছে বেশি পরিমানে যার ফলে এমনটা হয়েছে। ১৯৯৬ খ্রিস্টাব্দের হরিণশুমারি অনুযায়ী বর্তমান হরিণের সংখ্যা প্রায় ২২,০০০ দারিয়েছে। নোনা পানি বেষ্টিত নিঝুম দ্বীপ যেন কেওড়া গাছের অভয়ারণ্য হয়ে গড়ে উঠেছে। ম্যানগ্রোভ বনের মধ্যে সুন্দরবনের পরে পরে নিঝুম দ্বীপকে বাংলাদেশের দ্বীপ দ্বিতীয় বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ বন বলে অনেকে দাবী করে থাকেন।

তবে এই নিঝুম দীপ দেখতে অনেক সুন্দর।ভ্রমন পিপাসু মানুষের কাছে এটি একটি অসাধারন ভাল লাগার মত দর্শনীয় জায়গা।এর প্রাক্রিতিক সৌন্দর্যে দরশনার্থিদের মন জুড়ায়।সারা বছর এখানে দেশী বিদেশী হাজারো পর্যটক আসেন এর সুন্দর সিনারি উপভোগ করতে।সত্তিই অসাধারন ভাল লাগার মত একটি পর্যটন কেন্দ্র হল এই নিঝুম দ্বীপ